
অনেকদিন আগেই এটা নিয়ে লিখেছিলাম। এখন সেই লিখাই কিছুটা মডিফাই করে আপডেট করে দিলাম। পূর্বের এই লিখাটা অনেক ভাল সাড়া ফেলেছিল। দেখুন এখানে।
কেমন হয় আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন, অ্যানিমেশন, ফ্লিম ডিরেকশন, মোশন গ্রাফিক্স, ইনটেরিয়র ডিজাইন, স্কেচিং, গেম ডেভলপিং, প্রোগ্রামিং সহ আরো অনেক কিছু শিখতে পারেন এক কোর্সে? শুধু তাই না কোর্স শেষে পাবেন BSc অনার্স সার্টিফিকেট যা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও গ্রহনযোগ্য। আর সব কিছুই সম্ভব বাংলাদেশে বসেই!
হ্যা আমি স্বপ্ন দেখাচ্ছি না, একবারেই বাস্তব কথা বলছি। বাংলাদেশে এই সবগুলো বিষয় অর্থাৎ মাল্টিমিডিয়া নিয়ে পড়াশুনা করা যায় এটা সত্যিই অত্যন্ত সুখবর। আগে যারা এই বিষয়গুলো নিয়ে পড়তে চাইত তাদের জন্য বাইরের দেশ ছাড়া বিকল্প ছিল না। কিন্তু এখন বাংলাদেশেই এই বিষয়ে একাডেমিক ডিগ্রী সম্ভব। হ্যা আমি নিজেই এই বিষয় নিয়ে BSc অনার্স করছি।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রতি আমার আগ্রহ সব সময়ই। অ্যানিমেশন মুভিগুলো যখন দেখি তখন সব সময়ই মনে হতো ইশ এমন অ্যানিমেশন যদি আমি বানাতে পারতাম! হয়তো ছোট খাট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন বা অ্যানিমেশনে অল্প কিছু কোর্স করায়। কিন্তু এই সেক্টর আসলে এত বড় যে কয়েক মাসের কোর্সে এগুলা শেখা সম্ভব না। আমি সব সময়ই চিন্তা করতাম এই বিষয়গুলো নিয়ে যদি পড়াশুনা করা যেত তাহলে কতই না ভাল হতো।
হঠাৎ খোজ পেলাম গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে BSc করা যায়। গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে পড়া যায় জানার পর আমি ভাল মতো খোজ খবর শুরু করলাম। তারপর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ভার্সিটির Multimedia And Creative Technology (MCT) কোর্স সম্পর্কে জেনে আমি হতবাক হয়ে গেলাম। এই চমৎকার কোর্স অফার দেখে আমি আর দেরি করিনি সাথে সাথেই ভর্তি হয়ে গিয়েছি।
এই কোর্স সম্পর্কে জানার আগে ড্যাফোডিল ভার্সিটি সম্পর্কে কিছু বলে নেই। IT সেক্টরের জন্য বাংলাদেশের প্রাইভেট ভার্সিটিগুলোর মধ্যে অন্যতম ভার্সিটি হিসেবে পরিচিত ড্যাফোডিল ভার্সিটি। ওয়েব র্যাংকেও ৩য় অবস্থানে রয়েছে। আন্তর্জাতিক ভার্সিটি র্যাংকিং এ এই ভার্সিটি অনেক এগিয়ে রয়েছে। র্যাংকিং সম্পর্কে জানতে ভিজিট করতে পারেন এখানে ।